আনোয়ার হোসেন, বেনাপোল থেকে। ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় দেশের প্রত্যেকটি পৌরসভায় উন্নয়ন হয়েছে। উন্নয়ন হওয়া এসব পৌরসভার মধ্যে বেনাপোল পৌরসভা অন্যতম। আমি ক্যাটালগ দেখেছি, বাংলাদেশের সকল পৌরসভার মধ্যে সুন্দর বেনাপোল পৌরসভা।’ এমনভাবেই অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ হেলাল এমপির পুত্র বাগেরহাট-২ আসানের সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তম্ময়।

গত কাল শনিবার বিকেলে বেনাপোল মুজিববর্ষ উপলক্ষে শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অনুভূতি ব্যক্ত করেন। বেনাপোল সোনালী ব্যাংক চত্বরে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময় আরো বলেন, আমাদের আওয়ামী সরকারের আমলে বেনাপোল পৌরসভায় অনেক উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। তিনি বলেন, আমি বেনাপোল পৌরসভা ঘুরে দেখব। এই পৌরসভার কিভাবে এত উন্নয়ন হলো তা আমাদের জানতে হবে এবং এটাকে মডেল হিসেবে আমরা সেভাবে কাজে লাগিয়ে অন্য পৌরসভার উন্নয়ন করতে চাই।

শেখ সারহান নাসের তন্ময় বেনাপোল পৌরমেয়র আশরাফুল আলন লিটনের প্রশংসা করে বলেন, ‘আপনারা এমন একজন মেয়র পেয়েছেন যিনি সবসময়ই আপামর সাধারণ মানুষের সাথে আছেন। তিনি সবসময়ই তার এলাকার উন্নয়ন নিয়ে ভাবেন।

শেখ সারহান নাসের তন্ময় বলেন, সংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর লিটন চাচা আমাকে একটি কাগজ দিয়েছিলেন। সে কাগজে ছিল বেনাপোলকে কিভাবে সুন্দর করা যায়। নেতা হতে হলে এরকম হতে হবে- যিনি সবসময় মাটি ও মানুষের কথা ভাবেন। তিনি বলেন, শুধু দাঁড়ায় দাঁড়ায় বসে বসে ভাষণ দিবেন; আর কাজের কাজ কিছু হবে না- এমন নেতা হয়ে কোনো লাভ নেই। বেনাপোল পৌরসভার উন্নয়ন বিষয়ে লিটন চাচা আমাকে যে কাজ দেখিয়েছেন যদি বাগেরহাট গিয়ে এমন কাজ করতে না পারি তবে আমি মনে করব আমার অবস্থান তার চেয়ে খারাপ।

শেখ সারহান নাসের তন্ময় উপস্থিত জনগণের কাছে জানতে চান, আপনারা কি প্রত্যাশা করেন? তখন উপস্থিত জনতা মেয়র লিটনকে এমপি হিসেবে দেখতে চান বলে দাবি জানান এবং শার্শা আওয়ামী লীগকে বাঁচাতেও তার কাছে দাবি রাখেন।

জনগণের দাবির মুখে তিনি বলেন, যারা আওয়ামী লীগকে রক্ষা করবে যারা এলাকার উন্নয়নের জন্য কাজ করবে তাদের জন্য আমাদের সমর্থন থাকবে। মেয়র লিটন আমার চাচা, যেভাবে ভালবেসে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি একদিন সঠিক জায়গায় নিশ্চয়ই পৌঁছে যাবেন। এ সময় তিনি দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের ডেকে সালাম বিনিময় করেন।

বিশেষ অতিথি মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেন, আমরা আজ গর্বিত। যে পরিবারটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার নেতৃত্ব দিয়ে একটি লাল-সবুজের পতাকা উপহার দিয়েছিল আজ সেই পরিবারের সন্তান আমাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছেন। আমরা সেই জাতির জনকের পরিবারের এ সদস্যকে শার্শা বেনাপোলের পক্ষ থেকে রক্তিম শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করছি। তিনি এসেছেন বেনাপোলবাসীর উন্নয়নের কথা শুনবেন, দেখবেন ও ভবিষ্যতে আরো কিভাবে ভাল করা যায় সে সম্পর্কে জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বেনাপোলবাসীর দাবির কথা পৌঁছে দিবেন।

এতে সভাপতিত্ব করেন শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক উলাশি ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও বেনাপোল পৌরমেয়র আশরাফুল আলম লিটন।

উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আহসান উল্লাহ মাস্টার, শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন বাবলু, ফজলুল হক বকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মালেক, দপ্তর সম্পাদক আজিবর রহমান, প্রচার সম্পাদক ইলিয়াছ আযম, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সাবেক শার্শা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কবির উদ্দিন তোতা, কোষাধ্যক্ষ খোদা বক্স, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শেখ কোরবান আলী, শার্শা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান, বেনাপোল পৌর প্যানেল মেয়র সাহাবুদ্দিন মন্টু, কাউন্সিলর মিজানুর রহমান, বেনাপোল পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য মোজাফফার হোসেন, যশোর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ফারুক হোসেন উজ্জল, পুটখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল গফফার সরদার, সাবেক ছাত্র নেতা রুহুল কুদ্দুস ভুইয়া, বেনাপোল পৌর আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরামের সভাপতি রহমত আলী, আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন বেনাপোল পৌর আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক সুকুমার দেবনাথ।

এরআগে ভারত থেকে ফেরার পথে জাতির জনকের এ দৌহিত্রকে উত্তরীয় পরিয়ে ও ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান যশোর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক বেনাপোল পৌরমেয়র আশরাফুল আলম লিটন। এছাড়া বেনাপোল নোম্যান্সল্যান্ড এলাকায় শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দও এমপি তন্ময়কে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। বেলা তিনটার সময় আলোচনামঞ্চে এমপি তন্ময়কে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন মেয়র আশরাফুল আলম লিটন।